Fiverr HelpFreelancing Help

নতুন সেলার দের 30 দিনের প্ল্যান

আপনারা যারা ইনবক্সে বার্তা পাঠাতে পাঠাতে ক্লান্ত , তাদের জন্যই এই পোস্ট। মনোযোগ দিয়ে পড়েন , আর এই একটা মাস কষ্ট করেন , বলতে পারেন শেষ কষ্ট , যদি তারপর ও আপনার দ্বারা না হয় তাহলে ভাই আর কখনোই হবে না।
শুক্রবার , ঘুম থেকে উঠেই লিখতে শুরু করে দিছি , আবার কবে সময় পাবো কে জানে , তবে লিখাটা অনেক বেশি দরকার হয়ে পড়েছে।

প্রথম থেকেই শুরু করা যাক ,

আপনি যদি ফাইভার মার্কেটপ্লেস কে , আসলাম , দেখলাম , জয় করলাম ভেবে থাকেন তাহলে আপনার প্রথম ভুল এইটাই 😒

ফাইভার মার্কেটপ্লেস হলো ,

আসলাম , শিখলাম , আরো শিখলাম , ভেঙ্গে পড়লাম , উঠে দাড়ালাম , আবার হোচট খেলাম, জয়ের একটু তৃপ্তি পেলাম। 😊

যদি মনে করেন ৩৫০ টাকায় ১২ টা কোর্স কিনে , কোন ভাবে একটা লগো ডিজাইন অথবা পোস্টার ডিজাইন শিখে , অথবা একটা এড প্লেসিং করতে পারলেই , মার্কেটপ্লেসের হিরো হয়ে যাবেন , তাহলে সেগুড়ে বালি। আশা করা ও ছেড়ে দেন, আমাকে এমন একজন দেখান যে কিনা কোর্স কিনে , কোর্স করে আজকে লেভেল টু সেলার।
স্কিল ছাড়া এখানে কিছুই হচ্ছেনা , বেলা বাড়ি ফিরে যাও , এখানে স্কিল মানুষদের দর কষাকষির ভীড়ে তুমি হারিয়ে যাবে বেলা ।
আবার বলি স্কিল ছাড়া ফাইভারের সোনার হরিন ধরা যাবে না। আপনি যে জিনিস জানেন ওই জিনিস এর ওপর শতভাগ কনফিডেন্ট না থাকলে , দু পা পেছনে যান , শিখেন তারপর রান আপ নিয়ে ফাইভারে দোড়ান ।
স্কিলড মানুষগুলোদের বসে থাকতে হয় না , কাজের জন্য যে শুধু মার্কেটপ্লেস আছে তা না আপনি কাজ জানলে কাজ এসে আপনার কাছে ধরা দিবে, ( সময় পেলে কখনো লিখবো , স্কিলড বিক্রির বাজার নিয়ে একটা আর্টিকেল ।
আমি টপিক্স এ ফিরে আসি , ধরে নিলাম আপনি ফ্রিলান্সিং শিখলেন , আজকাল ফ্রিলান্সিং এর বড় ট্যাগলাইন হলো , ” ঘরে বসে ইনকাম করুন হাজার হাজার ডলার” , কথাটা এমন যেমন এককালে আমার দাদার ৫০ টা ঘোড়া ৫০০ শতক জমি , জমিদারি ছিল । যা পুরাতন হয়ে গেছে। মাসিক ৪০০০$ এর তৃপ্তিটা গত মাসে পেলাম , বোঝাতে পারবোনা সেই ফিলিংস , জব কনফার্ম হলো হয়তো এই বছর পর চলে যেতে হবে এই দেশ ছেড়ে তবুও একটা আক্ষেপ কি জানেন , আক্ষেপ হলো ফ্রিলান্সিং ব্যবসায়ীরা আপনাদের অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করতে পাঠাচ্ছে। আর দিনশেষে আপনারা হতাশ হয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন মার্কেটপ্লেস , মা বাবাকে বলছেন , অমুক কোর্স করছি আর কোন টেনশন নাই , তারপর শুধু ডলার আর ডলার , কষ্টের দিন ফুরাবে, আসলেই কি ফুরায়?
লিখে ফেলুন আপনার সাথে ঘটে যাওয়া সেই অন্ধের দেশের আয়না বিক্রি করার কাহিনি যাতে করে বাকি সবাই বুঝতে পারে , যতোটা সহজ এই ফ্রিলান্সিং নামটা আগে লাগানো ততোটাই কঠিন একজন ফ্রিলান্স্যার হওয়া।
————————————————————————–
আজকে শুক্রবার ২৮ ই মে , খাতা কলম নিয়ে বসে পড়ুন এই ৩০ দিন নিজেকে বন্দি করে ফেলুন , গার্লফ্রেন্ড থাকলে বলুন স্বপ্ন সাজাচ্ছি কটা দিন অপেক্ষা করো, বয়ফ্রেন্ড কে বলুন , “বাবু খাইছো” এই কথাটা একমাস পরে জিজ্ঞেস করবোঃ
আমি ধরে নিলাম আপনারা কাজ জানেন , গ্রাফিক্স ডিজাইন , ্ডিজিটাল মার্কেটিং , ওয়েব ডেভেলপিং , অথবা এপ ডেভেলপমেন্ট । যা জানেন তার মধ্যে বেস্ট জানেন এমন ৪ টা স্কিল রেডি করেন , রেডি করা শেষ হলে নিচের কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেন ,

এই ৩০ দিন কে ৫ ভাগে ভাগ করেন ,

প্রথম ৬ দিনঃ

প্রথম ৬ দিন , কিছুই করবেন না , শুধু আপনার সার্ভিস গুলোর সেইম টপ রেটেড ( বেস্ট রিভিউ গিগ গুলো ভিজিট করবেন , দেখবেন তারা কেমন সার্ভিস দিচ্ছে , কিভাগে গিগ সাজাচ্ছে , কি ডেলিভারি দিচ্ছে ( গিগ ইমেইজ এর সাথে এট্টাচ পাবেন ), বায়ার গুলো তাকে কি ধরনের রিভিউ দিচ্ছি । পোকার মতো টপ গিগ গুলোয় ভিজিট করুন । সাবধান কখনো তাদের টেক্সট করবেন না , অথবা টেক্সট করার ট্রাই ও করবেন না ।
ধরেন আপনার লগো ডিজাইনে ব্যাপক পারদর্শিতা আপনি লগো ডিজাইনের উপর থাকা ১০টা গিগ এর লিংক এক্সেল শিট এ রাখেন তাদের টাইটেল , প্রাইজ পাশে লিখে রাখেন।
লিখা শেষ , ৪ টা সার্ভিস বলেছিলাম , এবার এই ৪ টা সার্ভিস এর জন্য ৪ দিন সময় নিন , উপরের কাজ করার জন্য আর বাকি ২ দিনে , ৪ টা সার্ভিস রিলেটেড ৮ টা ( মিনিমাম) গিগ ইমেইজ রেডি করেন , ভাই বিশ্বাস করেন ওই ৪ দিনে ওই টপ গিগ থেকে যা শিখছেন তা আপনারা এই ৫/৬ মাসে ও শিখতে পারবেন না , শুধু এই ভাই ওই ভাই এর অর্ডার এর কাহিনীই ই শুনবেন।

দ্বিতীয় ৬ দিনঃ

আইডিয়া নেওয়া শেষ , তাহলে এবার শুরু করা যাক , নিজের প্রথম পার্ফেক্ট গিগ দেওয়ার।
৩ টা কথা বলি কীওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে,
👉 লং টেইল কীওয়ার্ড , উইথ এট্রাকটিভ ওয়ার্ডস
👉 কীওয়ার্ড এর ডিফিকাল্টি ( মানে এভেইলভল সার্ভিস ২৫০০ এর কম)
👉 ৭০ ওয়ার্ডের বেশি নয়।
(১ দিন সময় দেন , দেখবেন অনেক অনেক ভালো কীওয়ার্ড পাবেন)
১ টা টিপস ক্যাটাগরি নিয়েঃ
👉 রিলিভেন্ট ক্যাটাগরি , যে ক্যাটাগরি আপনার সার্ভিসের সাথে যায় , ওই ক্যাটাগরি এবং সাব ক্যাটাগরি সিলেক্ট করেন , আর হ্যা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন স্কিল টেস্ট আসলে তা দিতে পারেন।

ডেস্ক্রিপশনঃ

যে টাইটেল টা দিছেন উপরে সার্ভিসের জন্য সেইম টাইটেল টা বসিয়ে দেন , তারপর লিখা শুরু করেন ,
১০ টা গিগ যেগুলো রিসার্চ এর সময় নিয়েছিলেন আবার কষ্ট করে পড়েন , নিজে নিজে একটা ড্রাফট সাজান , তারপর আপনি কি দিবেন কিভাবে দিবেন লিখে ফেলুন , মিনিমাম ১০০০ ওয়ার্ডস লিখার ট্রাই করবেন।

টিপসঃ

👉 যে কীওয়ার্ড নিয়ে টাইটেল দিয়েছিলেন ওই কীওয়ার্ড টা ৩-৪ বার রাখার চেষ্টা করবেন।
👉 টাইটেল , কন্টেন্ট এর শুরুতে , কন্টেন্ট এর মধ্যেখানে এবং কন্টেন্ট এর শেষের দিকে ( কন্টেন্ট হলো আপনার ডেস্ক্রিপশন ।
👉 যা দিতে পারবেন তাই লিখবেন , শুধু শুধু যা পারেন না তা লিখতে যাইয়েন না , পরে বাজে রিভিউ পড়বে ,ক্লাইন্ট ডিরেক্ট অর্ডার করার পর যদি গিগ ডেস্ক্রিপশন অনুযায়ী সার্ভিস না দিতে পারেন।

ট্যাগঃ

যে ১০ টা গিগ কপি করে এক্সেল শিটে রাখতে বলছিলাম ১০ টা গিগের ৫০ টা ট্যাগ পাবেন , খুজে বের করুন কমন ৫ টা ট্যাগ যা সবাই ব্যবহার করেছে( বেশিরভাগ) ব্যাস আপনি ওইগুলোই ব্যবহার করেন , ইনশাল্লাহ ভালো ইম্প্রেশন আসবে।

প্রাইজঃ

বেসিক প্রাইজটা অন্যদের চেয়ে ৫$ এর মতো কম রাখতে পারেন , তবে দয়া করে মাছ বাজার বানাইয়েন ফাইভার টাকে , আপনি আপনার কাজের কোয়ালিটি ঠিক রেখে রেগুলার প্রাইজ অন্য সবাই যে প্রাইজ দেয় আপনি তার থেকে কিছুটা কম দিতে পারেন , এইটা কখনো কইরেন না যে অন্য কেউ আপনার সেইম সার্ভিস এর জন ৫০-৯০ ডলার চার্জ করছে আর আপনি ৫$ .

FAQ টা কপি করে দিতে পারেন তবে অবশ্যই দিবেন।

জীবনের সবচেয়ে বড় ফাইভার লেসন এই ১২ দিনে শিখা হয়ে যাবে , ৬ দিনে গিগ রিসার্চ পরের ৬ দিনে প্রথম ১ টা গিগ।

তৃতীয় ও ৪র্থ ৬ দিনঃ

গিগ কিভাবে ক্রিয়েট করতে হয় জেনে গেছেন , গিগ এখন ২ দিনে একটা পাবলিশ করুন , এই ১২ দিনে মেইক শিউর যে আপনার ৪ টা গিগ ক্রিয়েট করা শেষ।
পাশের বায়ার রিকোয়েস্ট অপশন টা নতুন ট্যাবে খুলে রাখুন আপনার কাজ রিলেটেড বায়ার রিকোয়েস্ট আসলে বিড করুন ।
বি;দ্রঃ রবিবার আমি বায়ার রিকোয়েস্ট টিপস নিয়ে লিখবো , ইনশাল্লাহ ।
প্রতিদিন ১০টা বায়ার রিকোয়েস্ট মাস্ট সেন্ড করবেন এইটা শেষ না করে ঘুমাতে যাবেন না ।

৫ম ৬ দিনঃ

নিজেই বুঝতে পারবেন ইম্প্রুভমেন্ট , এইবার বের হয়ে আসুন ফাইভার থেকে ৪ টা সার্ভিসের গিগ লিংক নিয়ে Social Media গুলোতে যান , লিঙ্কডীন , টুইটার , ইন্সটা , ফেইসবুক , আপনার সার্ভিস লিখে সার্চ করুন , অনেক রিলেভেন্ট গ্রুপ আছে ওইখানে বায়ার খুজার ট্রাই করুন ,

ভাই কিভাবে?

আর্টিকেল লিখছি , খুব তাড়াতাড়ি পাবলিশ করে দিবো।

গিগ গুলোর পারফেরমেন্স দেখুন , আর যদি দেখেন ১ মাসে ২৩০-৫০০ এর মতো ইম্প্রেশন আসছে তার মানে আপনি সব টিকঠাক করছেন যদি তার চেয়ে কম আসে , যে গিগ এ কম আসছে ওই গিগ টা নিয়ে পুনরায় রিসার্চ করেন , দেখেন ভুল কোন জায়গায় , ইনশাল্লাহ ভুলটা খুজে পাবেন ।
আজ এতটুকুই আবার লিখবো সময় পেলে ।

৫ টা সর্ট টিপ্সঃ

১। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন , কষ্ট বিফলে যায় না , আবার কষ্ট না করলে ফল ও পাওয়া যায় না । আপনার কষ্ট ই এখানে আপনার পুজি ।
২। একটিভ থাকুন , যতটুকু পারেন পিসি তে আর না হলে মোবাইল এপ্স এ ।
৩। বায়ার রিকোয়েস্ট সেন্ড করুন , মোবাইল দিয়ে ও সেন্ড করা যায়।
৪। স্বপ্ন শুধু দেইখেন না সফল করার জন্য উঠে পড়ে লাগুন ।
৫ । সুস্থ রাখুন নিজেকে।
সবার জন্য শুভকামনা
হৃদয়
টপ রেটেড ( আপওয়ার্ক)
লেভেল টু ( ফাইভার)
মার্কেটিং হেড ( Pouvoir En Legne , Torento , Canada)

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button